আমাদের চারপাশে নানারকম জিনিস রয়েছে (যেমন- টেবিল, চেয়ার,পানি, মাটি, বায়ু, লোহা ইত্যাদি)। এ সবকিছুই পদার্থের তৈরি।
পদার্থ কাকে বলে?: ”যা জায়গা দখল করে, যার ভর আছে,স্থান দখন করে, আকার ও আকৃতি আছে এবং বলপ্রয়োগে বাধার সৃষ্টি করে এবং যা পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করা যায় , তাকে পদার্থ বলে।”
পদার্থের প্রকারভেদ / শ্রেণীবিভাগ
অবস্থাভেদে পদার্থকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ-
- কঠিন (Solid Matter)
- তরল (Liquid Matter)
- বায়বীয় / গ্যাসীয় (Gaseous Matter)
কঠিন (Solid Matter)
যে পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় এর আকার ও আয়তনের পরিবর্তন হয় না তাকে কঠিন পদার্থ বলে। যেমন – লোহা, ইট, পাথর, কাঠ ইত্যাদি।
কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য
- নির্দিষ্ট আকার আছে।
- ওজন আছে।
- জায়গা দখল করে।
- বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে।
- একে তাপ দিলে প্রসারিত হয়।
- কোন কোন কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়। যেমন – ন্যাপথলিন।
তরল পদার্থ
যেসকল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু আকার নেই এবং যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রেই আকার ধারণ করে, তাকে তরল পদার্থ বলে। যেমন – পানি, তেল, দুধ ইত্যাদি।
তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য
- তরলের আয়তন আছে কিন্তু আকার নেই।
- ওজন আছে।
- জায়গা দখল করে।
- যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রেই আকার ধারণ করে।
- নিচের দিকে গড়িয়ে চলে।
বায়বীয় / গ্যাসীয় পদার্থ
যেসকল পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই তাকে বায়বীয় / গ্যাসীয় পদার্থ বলে।
বায়বীয় / গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য
- এ পদার্থের আকার ও আয়তন নেই।
- ওজন আছে।
- স্থান দখল করে।
- একে ঠান্ডা করলে তরলে পরিণত হয়। ইত্যাদি।
উৎপাদনভেদে পদার্থ ২ প্রকার। যথা-
- মৌলিক পদার্থ (Element matter)
- যৌগিক পদার্থ (Compound matter)
মৌলিক পদার্থ (Element matter)
যে সকল বিশুদ্ধ পদার্থ তার মৌলিক গুণাবলি অক্ষুণ্ণ রেখে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে তাকে মৌলিক পদার্থ বলে। যেমন – সোনা, রূপা, অক্সিজেন ইত্যাদি।
যৌগিক পদার্থ (Compound matter)
যেসকল পদার্থকে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভাঙলে দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে যৌগিক পদার্থ বলে। যেমন – পানি, লবণ, বায়ু ইত্যাদি।