পরিবেশ কাকে বলেঃ পরিবেশ হলো এমন একটি জিনিস যা আমাদের পারিপাশ্বিকতা তৈরি করে এবং পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য আমাদেরকে ক্ষমতা প্রদান করে। যদি এক কথায় বলি তাহলে, আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তা সব মিলিয়েই তৈরি হয়ে আমাদের পরিবেশ।
অর্থাৎ আমাদের চারপাশের গাছপালা, পশুপাখি, মাটি,পানি, জীবজন্তু, বায়ু, সূর্যের আলো, বন্ধুবান্ধব এসব কিছু মিলিয়েই তৈরি হয় পরিবেশ। আমাদের পরিবেশের প্রধান তিনটি উপাদন হচ্ছে — মাটি, পানি ও বায়ু। আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে।
পরিবেশের শ্রেণিবিভাগ
পরিবেশকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয় ১। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ২। সামাজিক পরিবেশ। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে মনােবিজ্ঞানী কার্ট লিউন পরিবেশকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন— প্রাকৃতিক পরিবেশ, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশ এবং মনস্তাত্ত্বিক পরিবেশ।
১। প্রাকৃতিক পরিবেশঃ আমাদের চারপাশে প্রকৃতির সব উপাদান নিয়েই প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃতি নিজে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিটি জীবের সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে উপদানগুলি তৈরি করেছে, সেই উপাদানগুলির সমষ্টিকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলে। যেমন: গাছপালা, পশুপাখি, সূর্যের আলো, মাটি, পানি, বায়ু ইত্যাদি। প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারবে না, মানুষ বাঁচার জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নির্ভরশীল।
প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান হলো: গাছপালা, সূর্যের আলো, মাটি, পানি, বায়ু, সমুদ্র, পাহাড়, নদী, ফুল ইত্যাদি।
২। সামাজিক পরিবেশঃ বাবা-মা, পরিবারের অন্যান্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধু এবং সহপাঠী, শিক্ষক, প্রতিবেশী, কমিউনিটির সদস্য, গণযােগাযােগ, বিনােদনের উপায়সমূহ, ধর্মস্থান, ক্লাব, পাঠাগার, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ইত্যাদি নিয়ে সমাজ পরিবেশ গঠিত।
ওপরের আলােচনা থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ বিশেষ করে প্রাকৃতিক এবং সামাজিক পরিবেশ ব্যক্তির জীবনের বিভিন্ন দিকের ওপর নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে।
আরো পড়ুনঃ বাক্য কাকে বলে?