কুটির শিল্প কাকে বলে: পারিবারিক শ্রমিক দ্বারা ঘরে বসে কোনরকমের বিদ্যুৎ ও ভারী যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়াই হাতের সাহায্যে কোনো দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করাকে কুটির শিল্প বলা হয়।
অর্থাৎ, কোনো ব্যাক্তি যদি ঘরে বসে ছোটখাটো কোনো যন্ত্রপাতি অথবা হাতের সাহায্যে কোনো দ্রব্যসামগ্রী তৈরি করে । ওই শিল্পকে কুটির শিল্প বলা হয়।
কুটির শিল্পের উদাহরণ
- কুমোর মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে,
- কাঠের মিস্ত্রি কাছের আসবাবপত্র বানায়।
- সোনার দোকানি সোনার জিনিসপত্র বানায়।
- কামার কাঁচি, কাস্তে, হাতুড়ি বানায়।
- ঘরে বসে জামাকাপড় তৈরি করা।
- কাগজের ঠোঙ্গা বানানো।
- ঘরে বসে পুতুল বানানো।
- বাঁশ ও বেতের ঝড়া বানানো।
এরকম অসংখ্য শিল্পকে কুটির শিল্প বলা হয় ।
যে সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী কুটিরের মধ্যে অর্থাৎ কোনো ছোটখাটো ঘর অথবা ছোটখাটো দোকানের মধ্যে উৎপাদন হয়ে থাকে তাকেই কুটির শিল্প বলা হয়ে থাকে।
কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে খুব বড় বড় মেশিন ব্যাবহার করার প্রয়োজন হয় না।
বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের গুরুত্ব
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেশে বেশ কয়েক ধরনের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চামড়া শিল্প, তাঁত শিল্প, সাবান শিল্প, তামাক শিল্প, রেশম শিল্প, মৃৎ শিল্প, কাঁসা শিল্প, কাঠ শিল্প উল্লেখ
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের গুরুত্ব :
- দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে : সারাদেশে শতশত বছর ধরে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে আসছে।
- কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে : ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। দারিদ্র্য ও বেকারত্ব কমাতে এ শিল্প ভূমিকা রাখছে।
- বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে : কোনো কোনো পণ্য বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প শুধু অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে তা নয়, এটি আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত।
আরো পড়ুনঃ বর্তনী কাকে বলে?