ভালোবাসা কাকে বলে?

ভালোবাসা কাকে বলেঃ ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা।

প্রকৃত ভালবাসা সার্বজনীন. ভালবাসা বিশ্ব সংসারের জন্য, ভালবাসা নিজের জন্য, ভালবাসা পিতামাতা, পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন, পাড়া – প্রতিবেশী,  আপন পর কম বেশি সবার জন্য।  তাই ভালবাসার মতো একটা মানবিক গুনকে কেবল মাত্র দুটি নারী পুরুষের সম্পর্কের মাঝে তথা দৈহিক সম্পর্ক ক্ষেত্র বিশেষে সন্তান জন্ম দেবার মতো একটা মানদন্ডে বিচার করলে সত্যিকার ভালবাসাকে অর্থাৎ সার্বজনীন ভালবাসাকে অতিশয় ছোট করা হবে তথা যারা যুগে যুগে তাঁদের ভালবাসা দিয়ে মানবতাকে যার যার স্থান থেকে সর্বোচ্ছ স্থানে রেখেছেন তাঁদেরকে অপমান করা হবে।

ভালোবাসা কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

ভালোবাসা ৩ প্রকার:

১. কঠিনঃ– এই প্রেম খুব শক্ত হয়। এই প্রেম কারো মনে আসলে সে অই ব্যক্তিকে ছাড়া আর কাউকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে পারে না। কিন্তু এই প্রেমের একটি সমস্যা হল এর প্রকাশ খুব কম, কারণ এটাকে সত্যিকারের প্রেম বলে। আর কবি গুরু বলেছেন “যার ভালবাসা যত গভীর, প্রতাশ করার ক্ষমতা তার তত কম”। এই প্রেম যার মনে একবার বাসা বেঁধেছে সে অই ব্যক্তিকে না পেলে চিরকুমার থাকার মতও ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। কারণ সে মনের মধ্যে তাকে এমন শক্ত করে আকড়ে ধরে যে সেখানে অন্য কোন তরুন বা তরুণীর ছবি আঁকা বা স্থান দেয়া দুষ্কর হয়ে পরে।শত কষ্টের মাঝেও দুজন দুজনকে ছাড়ে না, তখন অভাব ঘরের দরজায় না, চারিদিক ঘ্রাস করলেও ভালবাসা জানালা দিয়ে পালায় না। এটাকে বলে সত্যিকারের প্রেম। এই প্রেমে রাগ অভিমান ইত্যাদি বেশি থাকলেও ভাঙ্গন খুব কম। একান্ত কারণ ছাড়া এই প্রেম ভাঙ্গবে না। কখনো কখনো এই প্রেম মৃত্যু পর্যন্ত ঘটিয়ে থাকে।

০২. তরলঃ– এই প্রেম বা ভালবাসার কোন ভিত্তি নেই। এই ভালবাসার ছেলে/মেয়েরা  তরলের মতই যেই পাত্রে স্থান পায় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে, মানে যেখানে সে তার প্রতি অন্যকারো দুর্ভলতা বুঝতে পারে সেই মনে সে তাকে সপে দেয়। এমন করতে করতে কখনো সে অজানা ভাবেই সেঞ্চুরি করে থাকে। এই প্রেম চায়না মালের মত। আওয়াজ বেশি স্থায়ীত্ব কম, মানে ভালবাসি ভালবাসি বলতে বলতে মুখে ফেনা তোলে ফেললেও কখনো টেকসই হয় না। কারণ এই ভালবাসার কারণে কপোত/কপোতি বিভিন্ন মানুষকে তার মন দান করে থাকে, তার চোখে সবাইকে ভাল লাহে। আলাদা করে কাউকে সে  নিতে পারে না। তাই এই প্রেম তরল প্রেম।

০৩. বায়বীয়ঃ এটা আরো মজার প্রেম। এই ভালবাসার ছেলে/মেয়েরা  ভালবাসে কিন্তু মুখে প্রকাশ করে না। বায়ু যেমন অদৃশ্য থেকে সব কিছুকে দোলা দিয়ে যায়, ঠিক তেমনি এই ভালবাসা মনের মধ্যে থাকে নিজেকে নিজে দোলা দিয়ে যায়। প্রকাশ না করার কারণে কখনো কখনো মনের মানুষটাকে কোনদিন বলাই হয় না। আর না বলার কারণে ঘর বাঁধার স্বপ্নও আসে না। এই ভালবাসার কপোত/কপোতিগুলো তার ভালবাসার মানুষটিকে অন্যের সাথে দেখলে রাগ করবে অভিমান করবে কাঁদবে কিন্তু কখনো প্রকাশ করবে না। সে চায় তার ভঙ্গিমাতে অপরপক্ষ্য বুঝে নিক যে তাকে সে ভালবাসে। বায়ুর মতই অদৃশ্য থাকে বলে একে বায়বীয় প্রেম বলে। 

আশা করি বুঝতে পারছেন।

আরো পড়ুনঃ ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?

Leave a Comment