বাক্য কাকে বলেঃ এক বা একাধিক পদ বা পদসমষ্টি মিলিত হয়ে ভক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণরুপে প্রকাশ পায় তখন উক্ত পদসমষ্টিকে তাকে বাক্য (Sentence) বলে। যেমনঃ সে স্কুলে যায়, আমি ভাত খাই ইত্যাদি।
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, যে পদ বা শব্দ সমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়, সেই পদ বা শব্দ সমষ্টিকে বাক্য বলে।
প্রতিটি বাক্য প্রধান দুটি অংশে বিভক্ত-
১। উদ্দেশ্য।
২। বিধেয়।
- উদ্দেশ্যঃ বাক্যের যে-অংশ সম্মন্ধে কিছু বলা হয় বা যে অংশে কারো সম্মন্ধে কিছু বলা হয় তাকে উদ্দেশ্য বলে। যেমনঃ করিম ভালো ফুটবল খেলে। এখানে করিম উদ্দেশ্য। কারণ করিম সম্মন্ধেই কিছু বলা হয়েছে।
- বিধেয়ঃ বাক্যের যে অংশে উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলা হয় তাকে বিধেয় বলে। যেমনঃ সুজন ভালো ক্রিকেট খেলে। এ বাক্যের উদ্দেশ্যসম্পর্কে যা কিছু বলা হয়েছে – ভালো ক্রিকেট খেলে। এটিই হল বিধেয়।
গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার ও কি কি
গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার: যথা-
১। সরল
২। জটিল বা মিশ্র বাক্য
৩। যৌগিক বাক্য
সরল বাক্য:- যে বাক্যে একটি মাত্র উদ্দেশ্য ( কর্তা ) এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া ( বিধেয়) থাকে তাকে সরল বাক্য বা সাধারণ বাক্য বলা হয়।
উদাহরণ:- মিথ্যা বলার জন্য তোমার পাপ হবে।
- জটিল বা মিশ্র বাক্য:- যে বাক্যে একটি প্রধান খন্ড বাক্যের এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্যে পরস্পর সাপেক্ষ ভাব ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বা মিশ্র বাক্য বলে।
উদাহরণ:- যেহেতু তুমি মিথ্যা বলেছ, সেহেতু তোমার পাপ হবে।
- যৌগিক বাক্য কাকে বলে
যৌগিক বাক্য:- পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা বহু সরল বা জটিল বাক্যের সমবায়ে গঠিত একটি পূর্ণবাক্যকে যৌগিক বাক্য বলে।
উদাহরণ:- যে মোটা বটে, কিন্তু তার গায়ে শক্তি নেই।
আরো পড়ুনঃ ভাজ্য কাকে বলে?