পরিসংখ্যান কাকে বলে: পরিসংখ্যান বলতে বোঝায় কোন তথ্য, ঘটনা, বিষয়ের সংখ্যা এবং গণনাবাচক পরিমাপকে। অন্যভাবে বলা যায়, পরিসংখ্যান হলো সংখ্যাভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা, সংগঠিত করা, বিশ্লেষণ করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং ব্যাখ্যা দানের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হচ্ছে পরিসংখ্যা। পরিসংখ্যান শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ’statisticum collegium’ হতে উৎপত্তি হয়েছে।
পরিসংখ্যান উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি?
পরিসংখ্যান উপাত্ত প্রধানত দুই প্রকার। যেমনঃ
- প্রাথমিক উপাত্ত বা প্রত্যক্ষ উপাত্ত।
- মাধ্যমিক উপাত্ত বা পরোক্ষ উপাত্ত।
প্রাথমিক উপাত্ত বা প্রত্যক্ষ উপাত্ত:
যেকোনো উৎস থেকে সরাসরি ভাবে যে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয় তাকে প্রাথমিক উপাত্ত বা প্রত্যক্ষ উপাত্ত বলা হয়।
প্রাথমিক উপাত্তের সব সময় নির্ভরযোগ্যতা বেশি থাকে। তার কারণ হচ্ছে প্রাথমিক উপাত্ত উপর নির্ভর করে চূড়ান্ত পাওয়ার জন্য বিশ্লেষণ করে ফলাফল দেয়া হয়।
যেমনঃ কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন তালিকা তৈরি করা হচ্ছে প্রাথমিক উপাত্ত।
মাধ্যমিক উপাত্ত বা পরোক্ষ উপাত্ত:
যেকোনো উৎস হতে সরাসরিভাবে উপাত্ত সংগ্রহ না করে মাধ্যম ব্যবহার করে যে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয় তাকে মাধ্যমিক উপাত্ত বা পরোক্ষ উপাত্ত বলা হয়।
তবে মাধ্যমিক উপাত্তের নির্ভরযোগ্যতা থাকে না। কারণ মাধ্যমিক উপাত্ত সংগ্রহ করেন না। মাধ্যমিক তথ্যের উপর নির্ভর করে চূড়ান্ত ফলাফল নির্ণয় করা হয় তবে সেই ফলাফল প্রাথমিক উপাত্ত এতটা নির্ভরযোগ্যতা হয় না।
যেমনঃ একের অধিক প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের বেতন তালিকা তৈরি করা প্রয়োজন। কিন্তু সেই সকল একাধিক প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের বেতন তালিকা তৈরি করার জন্য মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। নতুবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। আর এভাবে তথ্য সংগ্রহ করাকে মাধ্যমিক উপাত্ত বা পরোক্ষ উপাত্ত বলা হয়।
পরিসংখ্যানের শাখা:
১। গড়
২। মধ্যক
৩। প্রচুরক
৪।অজিবরেখা
৫। গণসংখ্যা
৬। বহুভুজ
৭। আয়তলেখ
পরিসংখ্যান এর কার্য ক্ষেত্র
পরিসংখ্যান বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় আর সে সকল কার্যক্রম মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কার্যক্ষেত্র নিম্নে দেয়া হয়েছে। মূলত পরিসংখ্যান বিভিন্ন কলাকৌশল এর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক কাজে ব্যবহার করা হয়।
- রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ক্ষেত্রে।
- রাষ্ট্রীয় কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে।
- মানব কল্যাণ পরিসংখ্যান।
- পূর্বাভাস প্রদান।
- প্রাতিষ্ঠানিক নীতি নির্ধারণ।
- ব্যবসা-বাণিজ্য।
- অর্থনৈতিক গবেষণা।
- রাজনৈতিক গবেষণা।
- সামাজিক গবেষণা।
- অতীত অভিজ্ঞতা সংরক্ষণে।
- বিভিন্ন নীতি মালা নির্ধারণে।
- জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও মূল্যায়ন।
- রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়নে।
- জনগণের অধিকার রক্ষার্থে।
- শিক্ষা কার্যে।
- বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা।
- প্রাতিষ্ঠানিক কার্যে।
- রেমিটেন্স নির্ধারনে।
আরো পড়ুন> বিয়োজন কাকে বলে?