উপাত্ত কাকে বলেঃ কোন একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের সংখ্যাবাচক পরিমাপকে উপাত্ত বলে। এটাকে আরো সহজভাবে বলা যায়- সংখ্যাভিত্তিক যে তথ্য থাকে সেই তথ্যকে পরিসংখ্যান বলে আর, পরিসংখ্যানে যে সংখ্যাগুলো থাকে সেগুলো হচ্ছে উপাত্ত।
ধরা যাক কোন এক পরীক্ষায় ৯ম শ্রেণির অধ্যয়নরত ২০ জন শিক্ষার্থীর ইংরেচীতে প্রাপ্ত নম্বর হচ্ছে-
৫৫, ৭০, ৮৭, ৪৫, ৭৬, ৩৬, ৯৭, ৬৭, ৫৪, ৯৩, ৬৮, ৭৬, ৪৫, ৭৩, ৬৮, ৪৮, ৯,০, ৬৬, ৬৪
এখানে, উপরের নম্বর সমূহ এ তালিকার একটি পরিসংখ্যান। সুতরাং সংখ্যা দ্বারা প্রকাশিত যে কোন তথ্যই পরিসংখ্যানের উপাত্ত।
পরিসংখ্যানের উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি?
পরিসংখ্যান উপাত্ত দুই ধরনের।যথা,
(ক) প্রত্যক্ষ বা প্রাথমিক উপাত্ত
(খ) পরোক্ষ বা মাধ্যমিক উপাত্ত
প্রাথমিক উপাত্ত কাকে বলে
উপরে বর্ণিত পরীক্ষায় ইংরেজীতে প্রাপ্ত নম্বরগুলো প্রাথমিক উপাত্ত। এরূপ উপাত্ত অনুসন্ধানকারী সরাসারি উৎস থেকে সংগ্রহ করতে পারে। অর্থাৎ উৎস থেকে সরাসারি যে উপাত্ত সংগৃহীত হয় তাই হলো প্রাথমিক উপাত্ত। প্রাথমিক উপাত্তের নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেশি। করন এটি উৎস থেকে সরাসারি সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
মাধ্যমিক উপাত্ত কাকে বলে
পরোক্ষ উৎস থেকে সংগৃহীত উপাত্ত সমূহকে মাধ্যমিক উপাত্ত বলে। যেমন পৃথিবীর কয়েকটি বড় শহরের জানুয়ারী মাসের তাপমাত্রা আমাদের প্রয়োজন। যেভাবে ইংরেজীর প্রাপ্ত নম্বরগুলো সংগ্রহ করেছি সেভাবে তাপমাত্রার জন্য আমাদের সংগ্রহ করা সম্ভব নয়।
এক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের সংগৃহীত উপাত্ত আমরা আমাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারি। আর এটি হবে মাধ্যমিক উপাত্ত। এভাবে সংগৃহীত উপাত্তের নির্ভর যোগ্যতা অনেক কম হয়ে থাকে।
অবিন্যস্ত উপাত্ত
উপরে বর্ণিত শিক্ষার্থীদের ইংরেজীতে প্রাপ্ত নম্বর গুলো এলোমেলো ভাবে দেওয়া আছে। তাই এগুলো হলো অবিন্যস্ত উপাত্ত। নম্বরগুলো মানের কোন ক্রমে সাজানো নেই। অর্থাৎ উপাত্তগুলো যদি কোন প্রকার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সাজানো না হয় তখন তাকে অবিন্যস্ত উপাত্ত বলে।
বিন্যস্ত উপাত্ত
উপরে বর্ণিত নম্বরগুলো মানের উর্ধ্বক্রম অনুসারে সাজালে আমরা পাই
৩৬, ৪৫, ৪৫, ৪৮, ৫৪, ৫৫, ৬৪, ৬৬, ৬৮, ৬৭, ৬৮, ৭০, ৭৩, ৭৬, ৭৬, ৮৭, ৯,০, ৯৩, ৯৭
এভাবে সাজানো উপাত্তসমূহকে বিন্যস্ত উপাত্ত বলে।
সংগৃহীত উপাত্ত কোনো বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বা মানের উর্ধ্বক্রম বা অধক্রম অনুসারে সাজানো হলে তাকে বিন্যস্ত উপাত্ত বলে।
আরো পড়ুনঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে?